আমরা সারা দিনে যে কাজ করি সেগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়

  • লিভিং
  • ড্রাইভিং
  • ড্রেইনিং

লিভিং হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য যে কাজগুলো সবাইকে করতে হয়।  যেমনঃ খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানো, গোসল করা, বাথরুম করা এই সব। এইগুলো করতেই হবে। কোন ছাড় নাই। এই লিভিং ছাড়া বাকি যে কাজগুলো করছি সেগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক হচ্ছে ড্রেইনিং, আরেকটা হচ্ছে ড্রাইভিং।

ড্রেইনিং হচ্ছে সেই কাজ, যেগুলো আজকের পর আর কোনো কাজে আসবে না। ধরুন আপনি সারা দিন টিভি দেখে, ইউটিউব দেখে, মিউজিক ভিডিও দেখে কাটিয়ে দিন, আজকের দিনটার এই কাজগুলো ফিউচারে কোনো হেল্প করবে না। সামনে এগিয়ে নিতে কাজে লাগবে না। অর্থাৎ এই কাজগুলো করতে যে সময় দিচ্ছেন সেই সময়গুলো ড্রেনে চলে যাচ্ছে।

আর আপনি যদি আজকে কিছু একটা শেখার চেষ্টা করেন নতুন স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা করেন, সেটা ফিউচারে চাকরিতে হেল্প করবে। বইয়ের একটা চ্যাপ্টার পড়া করেন, তাহলে সেটা ছয় মাস পরে হলেও পরীক্ষায় হেল্প করবে। আজকে আপনি যদি ১০টা ইংরেজি ওয়ার্ড শেখার চেষ্টা করেন, তাহলে ইন্টারভিউ বোর্ডে ইংরেজিতে উত্তর দিতে কাজে লাগবে। সে জন্যই এ কাজগুলো হচ্ছে ড্রাইভিং।  এই কাজ গুলো আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে ড্রাইভ করছে এবং একটা আপনার লক্ষ্যের দিকে আপনাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে । তাই সারা দিনে আপনার ড্রেইনিংয়ের চাইতে ড্রাইভিং যত বেশি হবে, আপনার ফিউচার তত পোক্ত হবে।

মনে রাখবেন সেই চিরন্তন কথা, সময় ও স্রোত কাহারও জন্য চিরকাল অপেক্ষা করে না।

 

(সংগৃহীত)

CAPEBD
+ posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.