তিনটি দুর্দান্ত উপায়ে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন।

 মানুষ মাত্রই চাই নিজেকে সেরা হিসেবে এই পৃথিবীতে প্রমাণ করেতে আর সমস্ত প্রতিকূলতাকে ডিঙ্গিয়ে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে। কিন্তু কেবল একটা জিনিসের প্রবল অভাবের কারণে বেশিরভাগ মানুষ তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হতে পারে না।

আর তা হল আত্মবিশ্বাস। এই একটা বিষয় বিজয়ী এবং পরাজিতের মধ্যে পরিস্কার ব্যবধান তৈরি করে দেয়।

তাই যদি নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে পৃথিবীতে সফল হতে চান তবে নীচের তিনটি দুর্দান্ত পরীক্ষিত উপায় মেনে চলতে পারেন।

 

প্রথমত, অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা না করে নিজের শক্তিমত্তা খুঁজে বের করুন। এজন্য SWOT analysis করে দেখতে পারেন (গুগল করুন)। মনে রাখবেন, আপনি কখনোই অন্যের মত হতে পারবেন না, আবার অন্য কেউই আপনার মত হতেই পারবেনা। আপনি যখন বুঝে যাবেন যে আপনার চরিত্রের কোন অংশটি অনেক দৃঢ়, তখন সেটাকে আরও উন্নত করার প্রতি মনোযোগ দিন। যেমন, আমি অনেক বছর গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করলেও একসময় খুঁজে পাই যে আমি কথা বলতে ও মানুষকে তার লক্ষ্য খুঁজে পেতে স্বাভাবিক ভাবেই পারদর্শী।  যেদিন থেকে বুঝেছি সেদিন থেকে আমি এ বিষয়ে নিজেকে আরও শাণিত করতে কাজে লেগে পড়ি।

তাই আমি বলব প্রথমে নিজের শক্তির জায়গা খুঁজে বের করে কাজে লেগে পরলে আপনি আত্নবিশ্বাস ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করবেন।

 

দ্বিতীয়ত, খুব ভেবে চিন্তে ভালভাবে বিশ্লেষণ করে আপনার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করুন। প্রয়োজনে ভাল কোন কোচ বা মেন্টরের সহায়তা নিন। অবশ্যই লক্ষ্যটা হতে হবে অনেকটা এরকম যে আপনি আগামী দশ বছরে আপনার নিজেকে কোন পর্যায়ে দেখতে চান। এবার এই লক্ষ্যকে বাৎসরিক, বাৎসরিক থেকে মাসিক, মাসিক থেকে সাপ্তাহিক এবং সাপ্তাহিক থেকে প্রতিদিনকার কর্মকাণ্ডে ভাগ করে ফেলুন।

যেমন, আপনি আগামী দশ বছের নিজের একটা প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে চান যার বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ হবে ৫০০ কোটি। এবার এই পর্যায়ে যেতে হলে আপনাকে প্রতি বছর কি কি কাজ করতে হবে s-সেটার তালিকা তৈরী করুন। এবার এই বাৎসরিক লক্ষ্যকে সফল করার জন্য এটাকে মাসিক এবং ধীরে ধীরে দৈনিক কর্মকাণ্ডে নিয়ে আসুন। এর ফলে আপনার প্রতিদিনকার কাজের সমষ্টিই আপনাকে একদিন নিজের কোম্পানি গঠন করার লক্ষ্যে পৌছাতে সহায়তা করবে আর আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলবে।

 

সবশেষে, মনে রাখবেন, বেড়াল যদি বাঘের সাথে থাকে তবে কয়েকদিন পর সেও বাঘের মত হুঙ্কার ছাড়ে। আর বাঘ যদি বেড়ালের দলের সাথে চলাফেরা করা শুরু করে তবে কয়েকদিন পর সেও বিড়ালের মত ম্যাও ম্যাও করা শুরু করে।

সারমর্ম হল আপনি যদি আত্মবিশ্বাসীদের সাথে থাকেন, জয়ীদের সাথে থাকেন, ইতিবাচক ব্যাক্তিদের সাথে থাকেন, তবে আপনিও তাদের মতই হবেন। তাই আপনার চারপাশে যারা আছে তাদের মধ্য থেকে সেরাদের বেঁছে নিয়ে আপনার পথ চলার সাথী করুন।

 

 আপনি যদি একটু সময় নিয়ে উপরের তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করেন তবে অবশ্যই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবেন, গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি।  

Website | + posts

𝗖𝗛𝗜𝗘𝗙 𝗠𝗢𝗩𝗘𝗠𝗘𝗡𝗧 𝗠𝗔𝗞𝗘𝗥 and Corporate Trainer at Corporate Academy, 𝗣𝗮𝘀𝘀𝗶𝗼𝗻𝗮𝘁𝗲 𝘁𝗼 𝗵𝗲𝗹𝗽 𝗽𝗿𝗼𝗳𝗲𝘀𝘀𝗶𝗼𝗻𝗮𝗹𝘀 𝗳𝗶𝗻𝗱𝗶𝗻𝗴 𝘁𝗵𝗲𝗶𝗿 𝗯𝗶𝗴𝗴𝗲𝗿 𝗽𝘂𝗿𝗽𝗼𝘀𝗲 𝗼𝗳 𝗹𝗶𝗳𝗲✳️

Leave a Reply

Your email address will not be published.